দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এই মামলায় সোমবার ঢাকার দুই নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম সোমবার এই দণ্ডাদেশ দেন।
ব্যাংকের ওই শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহকে ১০ বছর, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সলিমুল্লাহকে সাত বছর, ওই শাখার ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলী ও কর্মকর্তা মো. সারোয়ার হোসেনকে তিন বছর করে কারাভোগ করতে হবে।
এই চার ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে রাবেয়া রহমান নামে এক নারীকে আসামি করা হলেও তিনি আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন। তার ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ উল্লাহ ও সলিমুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতের রায় হয়।
পরবর্তী সময়ে আসামিদের সহায়তায় জিয়াউর আলম নামে একটি ভুয়া ঋণ প্রস্তাব মঞ্জুর করে ২০০১ সালের ১৬ জানুয়ারি ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে এজাহারের অভিযোগ।
এরপর ২০০১ সালের ২৫ জানুয়ারি মোহাম্মদ উল্লাহসহ অন্য আসামিদের যোগসাজশে আরও ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে আত্মসাৎ করা হয়। আত্মসাৎ করা মোট অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা বলে মামলায় বলা হয়েছে।
ওই ঘটনায় ২০০৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ২০১১ সালের ১৯ জুন অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক রাম মোহন নাথ।
২০১২ সালের ১৯ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়। আটজনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর সোমবার রায় হল।