‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞাপন নজরে আসার পর রোববার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।
‘বঙ্গভবনের অতি নিকটে নিরাপত্তার জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ একটি বহুতল ভবনকে কেন্দ্র করে’ এই বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
অস্ত্র মামলায় আটক হয়ে মিজানুর রহমান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। বিজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে মিজানুর রহমানের মুক্তির আবেদনও করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বঙ্গভবন একটি বিশেষ শ্রেণির কে পি আইভুক্ত এলাকা এবং এর সুরক্ষার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ রয়েছে। এ ব্যাপারে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে জড়ানোর কোনও সুযোগ নাই। বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাবমূর্তি খাটো করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
“এ ব্যাপারে বিজ্ঞাপনদাতা, বিজ্ঞাপনটি প্রকাশকারী গণমাধ্যম/পত্রিকাসমূহকে এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”
বিজ্ঞাপনে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান দাবি করেন, “বঙ্গভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে ৩০ তলা ভবনের নকশা অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও সানমুন স্টার টাওয়ারের ওপরের কিছু ফ্লোর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
রাজধানীর দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত সানমুন টাওয়ার নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও এম আর ট্রেডিংয়ের মালিক মো. মিজানুর রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভবনটির প্রথম ৫টি ফ্লোর দখলে নেয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (দক্ষিণ)।