কুড়িগ্রামে মাদ্রাসার জমি দখলের অভিযোগ

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাককাটি হাট দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি পরিবারের বিরুদ্ধে।

আহসান হাবীব নীলু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2014, 03:12 PM
Updated : 19 Oct 2014, 03:12 PM

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শুধু জমি দখল নয়, তারা অর্ধশত গাছও কেটে নিয়ে গেছে।  উপড়ে ফেলেছে জাতীয় পতাকাসহ স্ট্যান্ড। এরপর বাঁশের বেড়া দিয়েছে মাঠে।

মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান,  মাদ্রাসার এক একর ৭০ শতক জমি রয়েছে। এ জমির ৬৯ শতক দান করেন স্থানীয় যশোর উদ্দিন (বর্তমানে মৃত) ১৯৭৯ সালে। এর মধ্যে ৩০ শতক জমি দেন ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে।

১৯৮৪ সালে  সরকারের আদেশে ফোকানিয়া মাদ্রাসাগুলো বিলুপ্ত হয়ে এবতেদায়ী দাখিল মাদ্রাসার সঙ্গে একীভুত হয়।

দু্‌ই মাস আগে যশোর উদ্দিনের পাঁচ ছেলে সায়েদুল হক, এরশাদুল হক, শাহাজালাল, ছামিউল ইসলাম এবং আবু সাঈদ দান করা ওই ৬৯ শতক জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে একাধিক সালিশও হয়।

সালিশে জমি না পেয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই পাঁচ ভাই বাঁশের বেড়া দিয়ে মাদ্রাসার মাঠ দখল করে নেন, কেটে নেন কয়েক লাখ টাকা মূল্যের অন্তত অর্ধশত গাছ।

মাদ্রাসা সুপার শামছুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রভাবশালী এ পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হতে না পারায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বেড়া দিয়ে মাঠ দখল করে নিয়েছেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্ট্যান্ডটিও তাদের দখলে যাওয়ায় মাদ্রাসায় এখন জাতীয় পতাকা তোলা সম্ভব হচ্ছে না।”

এ ব্যাপারে সায়েদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমার বাবা জমিগুলো ফোরকানিয়া মাদ্রাসকে দিয়েছেন, এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে দেননি। জমিগুলোর মালিক এবতেদায়ী মাদ্রাসা নয়, আমরা পাঁচ ভাই জমির মালিক। তাই জমির সীমানা বরাবর বেড়া দিয়েছি।"

রাজারহাট থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, "আমি থানায় নতুন যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। "

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি সরকারি প্রশিক্ষণে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। আগামী সপ্তাহে ফিরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।