জামায়াত নিষিদ্ধে পদক্ষেপ, দল হিসেবে তাদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে সমাবেশে বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।
সচিবালয়মুখী গণজাগরণ মঞ্চের মিছিল পুলিশ দোয়েল চত্বরে আটকে দিলে সেখানে সমাবেশের পর একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের স্মারকলিপি দিয়ে আসে।
দোয়েল চত্বরে সমাবেশে ইমরান বলেন, “সরকার প্রধানরা একসময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে। অনেক চড়াই-উৎরাই ও টালবাহানার পর তারা এখন বলছেন, আইন সংশোধন করবার দরকার হয়ে পড়েছে। কিন্তু এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
“সরকার বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। এক সময় বলেছে, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। আবার বলেছে, প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। এই কারণেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করতে সরকার আন্তরিক কি না বা তারা কোনও আপস করছে কি না। এ আশঙ্কা সরকারকেই দুর করতে হবে।”
যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায়ের পর তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গড়ে ওঠে গণজাগরণ আন্দোলন, যার মধ্য থেকে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিও ওঠে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা শুরুতে গণজাগরণ মঞ্চের সব দাবিতে একমত হলেও এখন বলছেন, এই আন্দোলনের আবেদন এখন আর নেই। এর মধ্যে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনগুলোও গণজাগরণ মঞ্চ থেকে দূরে সরে গেছে, ভাঙন দেখা দিয়েছে মঞ্চের মধ্যেও।
“আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যত বাধা দেওয়া হোক বা পেপার স্প্রে-জলকামান নিক্ষেপ করা হোক, আমাদের আন্দোলন দমানো যাবে না।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসূল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একাংশের সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার, উদীচীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন।