আটকদের সঙ্গে কথা বলতে থাই সরকারকে আবেদন

থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে পরিচয়দানকারীদের জাতীয়তা যাচাই করতে কারাগারে প্রতিনিধি পাঠানোর অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2014, 01:40 PM
Updated : 19 Oct 2014, 01:40 PM

থাইল্যান্ডের সরকারের কাছে এই আবেদনের কথা জানিয়ে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, “আটকরা মানবপাচারের শিকার।”   

আসেম সম্মেলন নিয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আসেম সম্মেলন শেষে গত শনিবার মধ্যরাতে ঢাকা ফিরেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আবুল হাসানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মুস্তফা কামালও উপস্থিত ছিলেন।

গত শনিবার দক্ষিণ থাইল্যান্ডের একটি রাবার বাগান থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে যাওয়া ৫৩ জনকে উদ্ধার করে থাই পুলিশ।

এর আগে থাইল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপ থেকে আরও ৭৯ জনের একটি দলকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

তারা সবাই বর্তমানে থাইল্যান্ডের কারাগারে আটক রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মুস্তফা কামাল বলেন, “এ বিষয়টি নিয়ে আমরা থাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছি, একবার তাদের পরিচয় যাচাইয়ের কাজটি হয়ে গেলে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আনার ব্যাপারে কোনও সমস্যা হবে না।” 

থাই কর্তৃপক্ষ ঢাকাকে জানিয়েছে, দুই দফায় উদ্ধার ১৩৪ জনের মধ্যে ১১৮ জন নিজেদেরকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করেছেন। বাকিরা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। 

“ভিন্ন ভিন্ন কারাগারে নিয়ে আটক ওই বাংলাদেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে থাই কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে যে দফায় ৫৩ জন উদ্ধার হয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৮ জন নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন,” বলেন পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, আর দ্বিতীয় দফায় উদ্ধার হওয়া ৮১ জনের মধ্যে একজন কেবল নিজেকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে দাবি করেছেন। বাকিরা সবাই নিজেদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। 

“আমাদের ব্যাংকক দূতাবাসের সঙ্গে থাই কর্তৃপক্ষের সুসম্পর্ক রয়েছে। এর আগেও আমরা সেখান থেকে নাগরিক ফিরিয়ে এনেছি। এবারও কোনও সমস্যা হবে না।”

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সি-ফুড রপ্তানিকারী দেশ থাইল্যান্ড মৎস্য শিল্পে স্থানীয় শ্রমিক সঙ্কটের কারণে প্রতিবেশী দেশের শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

এসব বিদেশি শ্রমিকদের আটক রেখে ‘ক্রীতদাসে’র মতোই ব্যববহার করা হয় বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।