সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাবুল শেখের (৪২) মৃত্যু হয়। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামের প্রয়াত সুলতান শেখের ছেলে।
আহতরা হলেন বাবুল শেখের ছেলে রাহাত শেখ (২৪) এবং ছোট ভাই রিপন শেখ (৩৮)। তারা পিরোজপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এরা সবাই মোরেলগঞ্জের তেলিগাঁতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম রসুল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ননী গোপাল রায় বলেন, আহতদের হাত, পা ও পিঠে একাধিক ধারাল অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে।এর মধ্যে বাবুল শেখের দুই পায়ের জখম সবচেয়ে বেশি।
ওসি আসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে বৈলপুর গ্রামের মানছুর শেখের নেতৃত্বে ৮-১০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাবুল, তার ছেলে রাহাত এবং ছোট ভাই রিপনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়।
“এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মানছুর শেখের সঙ্গে বাবুলের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, ২০১২ সালের ৪ মে বৈলপুর গ্রামে গোলাম রসুল খুন হন। ওই খুনের ঘটনায় বাবুল, তার ছেলে রাহাত এবং ছোট ভাই রিপনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। তিনজনেই জামিনে রয়েছেন।
হামলায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।