অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা রোববার বেলা পৌনে ৩টার দিকে দুই আইনজীবীর মোবাইল ফোনে একই বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে এই হুমকি দেয় বলে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবী রেখা আক্তার এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবী সাইদুর রহমানের মোবাইল ফোনে হুমকি সম্বলিত এই এসএমএস আসে।
সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তাকে পাঠানো এসএমএসে লেখা ছিল- ‘শিগগিরই বোমা হামলা চালানো হবে জজ কোর্টে’। এটা দেখেই তিনি আইনজীবীর সমিতির সভাপতিকে জানান।
এরপর রেখা আক্তারের মোবাইল ফোনেও একই এসএমএস আসে বলে এই আইনজীবী জানিয়েছেন।
হুমকির বিষয়টি জানার পর আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, “বিষয়টিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি, মেটাল ডিটেক্টর বসিয়ে আদালতে আসা লোকজনকে তল্লাশি করে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।”
তবে নিরাপত্তার এই বন্দোবস্তু যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত।
কারা এই হুমকি দিয়েছে, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “কোনও দুষ্ট লোক অথবা অন্য কোনও গোষ্ঠিও এই এসএমএস পাঠাতে পারে। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।”
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কেএম ফজলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০০৪ সালের আড়াইহাজারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রোববার জেএমবির সদস্য দেলোয়ার হোসেনের আদালতে হাজিরার দিন ছিল। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এই মামলায় জেএমবির সদস্য দেলোয়ার এর আগে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী জানান।
প্রায় দশককাল আগে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) বাংলাদেশের আদালতগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছিল। তাদের হামলায় দুই বিচারকও প্রাণ হারান।
পরে এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ হয়। বর্তমানে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দাবি করে আসছেন।
তবে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের পর গ্রেপ্তার কয়েকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের গোয়েন্দারা বলছেন, বাংলাদেশে বড় ধরনের বোমা হামলার পরিকল্পনা করছে জেএমবি।