প্রাণনাশের যুদ্ধে জীবন বাঁচাতে তৎপরতা

১৯৪৫ সালের ১০ অগাস্ট, পরমাণু বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত জাপানের নাগাসাকি। সেই বিভীষিকার মধ্যেই আহতদের বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রেডক্রসের অকুতোভয় কর্মীরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2014, 02:14 PM
Updated : 18 Oct 2014, 02:14 PM

চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে মানবতার সেবায় রেডক্রসের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে এমন সব ছবি দিয়ে।  

শনিবার সকালে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের উদ্বোধন করেন এই প্রদর্শনীর, যেখানে ৭১টি ছবির মধ্যে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার শিকার বাংলাদেশিদের বাঁচাতে রেসক্রসের তৎপরতার ছবিও ছিল।

প্রদর্শনীতে যোগ দিতে আসা রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির হেড অফ ডেলিগেশন ক্রিস্টিন চিপোলা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেডক্রস হচ্ছে প্রথম আন্তর্জাতিক সংগঠন যেটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানবতার সেবায় প্রথম এগিয়ে এসেছিল।

ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রসের কমিউনিকেশন ডেলিগেট মাইকেল কিপলে বলেন, রেডক্রসের কার্যক্রমকে মানুষের সাথে সম্পৃক্ত করা ও যুদ্ধের শিকার মানুষকে রক্ষায় যে আইন তার প্রচার এই প্রদর্শনীর অন্যতম উদ্দেশ্য।

“১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে রেডক্রস প্রায় ২৮ লাখ বার্তা বিতরণ করেছিল, যার মাধ্যমে অসংখ্য পরিবার তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে পায়।”

প্রদর্শনী দেখতে আসা চিত্রশিল্পী মো. আরিফ বলেন, “এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে রেডক্রস সম্পর্কে বিশদ জানতে পারলাম।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যুদ্ধাহত সৈন্যদের রক্ষায় ১৮৬৪ সালের ২২ আগস্ট জেনেভা কনভেনশনের আন্তর্জাতিক দলিলকে ভিত্তি করে রেডক্রস তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

প্রদর্শনীতে সার্ব-তুর্কি যুদ্ধ (১৮৭৬ সাল), স্পেন-আমেরিকা যুদ্ধ (১৮৯৪), বলকান যুদ্ধ (১৯১২-১৩), প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৮), প্যারাগুয়ের চাকো যুদ্ধ (১৯১৪-১৯),ইথিওপিয়ার যুদ্ধ (১৯৩৫-৩৬), দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-৪৫), কেনিয়ার যুদ্ধের (১৯৫০-৫৩) সময়ে রেডক্রসের কার্যক্রম উঠে এসেছে।

গত জুনে ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছিল। চট্টগ্রামে রেডক্রসের এটি দ্বিতীয় প্রদর্শনী।