নেত্রকোণায় নেতৃত্ব নিয়ে মালিকদের দ্বন্দ্বে বাস বন্ধ

মালিক সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে সারা দেশের সঙ্গে নেত্রকোণার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2014, 12:29 PM
Updated : 18 Oct 2014, 12:29 PM

শনিবার সকাল থেকে নেত্রকোণা থেকে কোনো বাস না ছাড়ায় এবং দেশের অন্য কোনো জায়গা থেকে সেখানে বাস না যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

নেত্রকোণা জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক তরুণ কান্তি শিকদার জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় সাংসদ যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই সুরাহা হবে।”

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের পারলা বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মালিক সমিতির নতুন কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।

আগের কমিটির সভাপতি ওবায়দুল হক রতনকে আহ্বায়ক এবং সাইফ খান বিপ্লব ও মনোয়ার জাহান সুজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে নতুন কমিটির ৫৯ সদস্যকে সেখানে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এর পরপরই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি গত ৩০ মার্চ নেত্রকোণা জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতির কমিটির মেয়াদ দুই বছরের জন্য বাড়ায়। আরো ১৭ মাস এই কমিটির মেয়াদ রয়েছে।

“নতুন কমিটির বিষয়টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. এনায়েতউল্লাহ ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীকে জানালে তারা তাৎক্ষণিক সভায় বসে এবং সমস্যার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।”

এ বিষয়ে নতুন কমিটির আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রতন বলেন, “আগের কমিটির মেয়াদ রয়ে গেছে। তারপরও সবার মতামতের ভিত্তিতে পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

“নতুন কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অনমোদন পাওয়ার পরই আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করবো। কী কারণে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়।”

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে অটোরিকশায় চড়ে ময়মনসিংহ হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা দিলীপ সাহা সকালে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে আসেন চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে। বাস না পেয়ে দ্বিগুণ টাকা খরচ করে অটোরিকশা ভাড়া করতে হয় তাকে।

“বাস মালিক সমিতির নেতারা তাদের দ্বন্দ্বে আমাদের হয়রানি করছে,” বলেন দিলীপ।