ঝালকাঠীতে দুই দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ

মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ঝালকাঠীতে বাস মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে।

ঝালকাঠী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2014, 09:04 AM
Updated : 18 Oct 2014, 09:04 AM

শনিবার সকালে ঝালকাঠী বাস শ্রমিক সমিতির সভাপতি বাহাদুর চৌধুরী জানান, শুক্রবার থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের এ কর্মসূচি পালন করছেন। এ কারণে ঢাকা-খুলনাসহ ঝালকাঠী থেকে ১২ রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সমস্যা সমাধানে শনিবার ঝালকাঠী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাস ও অটোরিকশার মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঝালকাঠী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক দুলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সরকারি ঘোষণার পরও ঝালকাঠীর বিভিন্ন রুটে ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন এবং মাহেন্দ্র চলছে।

“এতে আমাদের ব্যবসায় ধস নামছে। পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠন মহাসড়ক থেকে এসব অবৈধ যান চলাচল বন্ধে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে।”

এদিকে, দুই দিন ধরে দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ভর্তি পরীক্ষার্থীসহ অন্য যাত্রীরা।

শনিবার সকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ঝালকাঠী বাসস্ট্যান্ডে আসেন অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী। বাস না পেয়ে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

শিক্ষার্থী শর্মিলা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধর্মঘটের কথা আমার জানা ছিল না। এখন বাস না পেয়ে বিপদে পড়েছি।”

কাউখালী উপজেলা থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে আসেন বরকত আলী।

তিনি বলেন, “যেভাবেই হোক আমাকে কর্মস্থল ঢাকায় যেতেই হবে। এখন বেশি ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেলে করে আগে বরিশাল যাব। সেখান থেকে ঢাকার বাস ধরতে হবে। এতে আমাকে ভোগান্তির পাশাপাশি অর্থ দণ্ড দিতে হবে।”

তবে বাস-মিনিবাস বন্ধ থাকলেও ট্রাকসহ অন্য যান চলাচল করছে।

মহাসড়ক থেকে অবৈধ বাহন উচ্ছেদ করা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে ঝালকাঠী বাস মালিক-শ্রমিকদের সংঘর্ষ বাধে।

এরপর থেকেই বাস মালিক-শ্রমিকরা ঝালকাঠী থেকে সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।

এ ঘটনায় চাঁদাবাজি ও মারামারির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে বাস ও অটোরিকশার মালিক শ্রমিকরা।