সদর থানার ওসি কাজী হানিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার সকালে উপজেলার জালালপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত সাইফুল ইসলাম (২৫) চর ভাড়ারা গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। তিনি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ ঘটনায় আহত সজল আহমেদ জনিকে (২৬) পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
“জনি যাওয়ার সময় সঙ্গে বন্ধু সাইফুলকে নিয়ে যায়। এলাকায় যাওয়ার পর মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের বেদম মারপিট করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সাইফুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শনিবার ভোরে সে মারা যায়।”
সাইফুলের চাচা জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মেয়েটির ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জনি বিশ্বাস ও সাইফুল ইসলামকে শহরের টার্মিনাল এলাকা থেকে ধরে নিয়ে জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
তিনি বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ও স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।”