শনিবার সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে নিহতদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জমান সোহাগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোরানখানি এবং আছরের পর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই রাসেল, শিশু বয়সেই ঘাতকের বুলেটে যার মৃত্যু হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হয় রাসেল। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
মায়ের কাছে নেওয়ার কথা বলে সেই রাতে বাড়ির দোতলায় নিয়ে তাকে গুলি করে সেনা সদস্যরা।
ওই ঘটনা নিয়ে আদালতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কর্মী আব্দুর রহমান শেখের (রমা) দেওয়া জবানবন্দি থেকে সেই হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতার খণ্ডচিত্র পাওয়া যায়।
“শেখ রাসেল তখন ‘মায়ের কাছে যাব’ বলতে বলতে কাঁদছিলেন। মহিতুল ইসলামের (বঙ্গবন্ধুর ব্যাক্তিগত সহকারী) কাছে সে জানতে চায়, ‘ভাই, আমাকে মারবে না তো’। এ সময় একজন সেনা সদস্য বলে, ‘চলো, তোমার মায়ের কাছে নিয়ে যাই।’ বালক রাসেলকেও দোতলায় নিয়ে যায় খুনিরা। এরপর একইভাবে গুলির শব্দ আর আর্তচিৎকার শুনি।”