ভক্তদের ভিড়ে জাফর ইকবাল

চট্টগ্রামের বইয়ের দোকান বাতিঘরে পাঠক-ভক্তদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার কথা ছিল জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 03:45 PM
Updated : 17 Oct 2014, 03:50 PM

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় নির্ধারিত এই আয়োজনে অংশ নিতে পাঠক-শিক্ষার্থী-লেখক আর আগ্রহীরা ভিড় করতে থাকেন বিকাল ৫টা থেকেই।

যথাসময়ে জাফর ইকবাল বাতিঘরে পৌঁছে দেখেন তিল ধারণের স্থান নেই বাতিঘরে; ভিড়ে বই বিপনীটির ভেতর-বাহির একাকার।

ভিড় ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে কথা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশে কল্প কাহিনী রচনার অগ্রপথিক জাফর ইকবাল। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি।

দ্রতই ভিড় বাড়তে থাকলে আয়োজকদের অনুষ্ঠান স্থগিত করতে অনুরোধ করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।

তবে তিনি কথা দিয়েছেন, পাঠকদের সাথে আড্ডা দিতে আবার আসবেন। কিন্তু আয়োজনটি হতে হবে বড় পরিসরে, কোনো বড় জায়গায়।

অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল বলেন, “আমার বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু তার অসম্ভব বই বিলাসিতা ছিল। বাবা আমাদের সব ভাই-বোনদের বই পড়তে উৎসাহিত করতেন। আমাদের ঘরেই ছিল বইয়ের সংগ্রহ।

“যখন আমার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার শুরুই হয়নি। তখন বাবা আমাকে কবিতা পড়ে শোনাতেন।”

এক পর্যায়ে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে সমবেতদের মধ্যে একজন পায়ে ব্যাথা পেলে অনুষ্ঠান স্থগিত করার অনুরোধ জানান জাফর ইকবাল।

আবার চট্টগ্রাম আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাতিঘর ছেড়ে যান তিনি।

বাতিঘরের স্বত্তাধিকারী দিপঙ্কর দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যার আবার আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। বড় পরিসরে আয়োজনটি করা হবে। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে আমরা অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি।”

বই বিপণি বাতিঘরে এর আগেও ‘আমার জীবন আমার রচনা’ শীর্ষক লেখক-পাঠকের এরকম একাধিক আড্ডার আয়োজন করা হয়।

এসব আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়সহ বাংলাদেশের অনেক লেখক-কবি এসেছেন। তবে এর আগে কখনো পাঠক-ভক্তদের এত ভিড় হয়নি।

জাফর ইকবালের কথা শুনতে বাতিঘরে আসা শিক্ষার্থী মুনতাসির রহমান বলেন, বিকাল ৫টা থেকে অপেক্ষায় ছিলাম। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অধ্যাপক জাফর ইকবাল অসার পর লোক আরও বাড়তে থাকে।

“একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে বাতিঘরের বাইরে এসে দাঁড়াই। সেখানেও কয়েকশ লোক সমবেত ছিল। তিনি (জাফর ইকবাল) কি বলেছেন কিছুই শুনতে পারিনি।”