সাতছড়িতে আবারও গুলি উদ্ধারের দাবি র‌্যাবের

হবিগঞ্জের সাতছড়ি বনে চতুর্থ দফা অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সন্ধান পাওয়া নতুন দুটি বাংকার থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধারের দাবি করেছে র‌্যাব।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 08:47 AM
Updated : 17 Oct 2014, 11:31 AM

র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার রিয়াদ হাসান রাব্বানি বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু করে বনেরভেতর পাহাড়ে দুটি বাংকারের সন্ধান পান র‌্যাব সদস্যরা।

“বাংকার দুটি থেকে বিভিন্ন অস্ত্রের নয় হাজার ৪৫৪ গুলি, ৮০টি ম্যাগাজিন, পাঁচটি ওয়াকিটকি ও একটি রেডিও উদ্ধারকরা হয়।"

এর মধ্যে রয়েছেএসএমজি ও এলএমজির আট হাজার ৩৬০টি গুলি, থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলের ১৫২টি গুলি, পিস্তলের ৫১৭টি গুলি, মেশিনগানের ৪২৫টি গুলিসহ মোট নয় হাজার ৪৫৪ বুলেট।

এছাড়া এসএমজির ২০টি, এলএমজির পাঁচটি, এসএলআর-এর ছয়টি, থ্রি-নট-থ্রির চারটি, এমএমজি দুটি, পিস্তলের ২৯টি ও জি থ্রি'র ১২টিসহ মোট ৮০টিম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

অস্ত্র উদ্ধারের পর দুপুরেএক প্রেস ব্রিফিংয়ে উদ্ধার করা গোলাবারুদের তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাবকর্মকর্তা রিয়াদ।

চতুর্থ দফার এ উদ্ধার অভিযান অব্যাহতথাকবে বলে জানান তিনি।

এ অভিযান শুরু প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সংরিক্ষিত বনের একটিপাহাড়ি গর্তের মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটিমেশিনগানে ব্যারেল, আটটিম্যাগাজিন এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত ৩ জুন সাতছড়িরত্রিপুরা পল্লী ও আশপাশের বিভিন্ন টিলায় প্রথমবার অভিযানচালিয়ে সাতটি বাংকারের সন্ধান পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব।

১৯ জুন পর্যন্ত সংরক্ষিতবনাঞ্চলে টিলার নিচের গর্ত ও বাংকার থেকে চারটি ৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার বোরের মেশিনগান, মেশিন গানের পাঁচটি অতিরিক্ত ব্যারেল, ২২২টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৪৮টি রকেটেরচার্জ, ৭ দশমিক ৬২- ৩৯ মিলিমিটার বোরের ১১ হাজার ৫৮০বুলেট, ১২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বোরের ২৮৪টি মেশিন গানেরবুলেট, ৭ দশমিক ৬২-৫৪ মিলিমিটার বোরের ৪৪০টি বুলেট,১৯টি মিশন গানের ড্রাম এবং যন্ত্রাংশ উদ্ধার করার কথা জানানো হয়র্যাবের পক্ষ থেকে।

এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২সেপ্টেম্বর সেখানে অভিযান চালিয়ে আবারো অস্ত্র পাওয়ার কথা বলে র‌্যাব।

ওইদিন র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উদ্ধার করাঅস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে নয়টি এসএমজি, একটি এমএমজি,একটি বেটাগান, একটি ৭ দশমিক ৬২মিলিমিটার বোরের অটোরাইফেল, ছয়টি এসএলআর, দুটি এলএমজি, একটি স্নাইপার টেলিস্কোপিক সাইটও ২৪০০ গোলাবারুদ রয়েছে।

তৃতীয় দফায় সেখানে গোলাবারুদপাওয়া যায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর। এবার ত্রিপুরা পল্লীর অজিত দেব বর্মার বাড়ির পেছনেএকটি গোয়াল ঘরের নিচে থাকা বাংকার খুঁড়ে ১৫ বস্তা গোলাবারুদ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব।এর মধ্যে ছিল ১১২টি রকেট ও ৪৮টি রকেট চার্জার।

প্রথম দফা অস্ত্র উদ্ধারের পরচুনারুঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেসহদুটি মামলা হয়।

যে স্থানটিতে এই গোলাবারুদপাওয়া গেছে, তা এক সময় অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের (এটিটিএফ) আস্তানাছিল বলে মনে করা হয়। ত্রিপুরার এই বিদ্রোহী দলটি এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে।