নওগাঁয় ‘পরামর্শেই’ সীমাবদ্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম

নওগাঁর মান্দায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ওষুধ সরবরাহ। ফলে ‘পরামর্শের’ মধ্যেই সমীবদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের এই সেবা কার্যক্রম।

সাদেকুল ইসলাম নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 07:51 AM
Updated : 17 Oct 2014, 07:51 AM
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার  উপজেলার মাগুরা, দেলুয়াবাড়ি ও গোবিন্দপুর কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে ছোটখাট রোগের ওষুধও পাচ্ছেন না তারা।

উপজেলার নলঘৈর গ্রামের মেহের আলী অ্যাজমা, উত্তরকোঁচড়া গ্রামের হামেদা বিবি মাজার ব্যাথা, জয়নুর বিবি ও নুর বানু চোখের সমস্যা ও শকিলা খাতুন জ্বরের চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন মাগুরা কমিউনিটি ক্লিনিকে।

নলঘৈর গ্রামের রেজিয়া বিবি কাশি, কুলসুম বিবি শ্বাসকষ্ট ও তিন বছর বয়সি রুমানার জ্বরের চিকিৎসা নিতে তার মা মিনা বেগমসহ আরও অনেকে এ সময় ক্লিনিকে উপস্থিত ছিলেন।

আগত এসব রোগীরা জানান, বাড়ির কাছের ক্লিনিকে চিকিৎসা ও ওষুধ দুটোই পাওয়ায় তাদের আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হতো না। সাংসারিক কাজের ফাঁকে ক্লিনিকে এসে সহজেই চিকিৎসাসেবা নিতে পারতেন। বেশকিছু দিন ধরে ক্লিনিকে এসে ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা। চিকিৎসা নিতে এলেই বলা হচ্ছে ওষুধ নেই।

চিকিৎসা নিতে উপজেলার দেলুয়াবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা শিরিনা বিবি, শাহানারা বিবি ও জুলেখা বিবি এবং গোবিন্দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা ছালেমা বিবি, হারেদ আলী ও টমি রানী একই ধরনের অভিযোগ করেন।

মাগুরা কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রাসেল রানা জানান, গত ২০ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই কার্টন ওষুধ পেয়েছেন তিনি। এ ক্লিনিকে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন।

জুন মাসের সরবরাহকৃত ওষুধ দিয়ে মাত্র একমাস চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

রানা জানান, ওষুধ না থাকায় সেবামূলক পরামর্শের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
দেলুয়াবাড়ি ক্লিনিকের সিএইচপিসি রোজিমা খাতুন ও গোবিন্দপুর ক্লিনিকের সিএইচপিসি শিউলি খাতুন জানান, ক্লিনিকে আসা রোগীদের তুলনায় ওষুধ সরবরাহ খবুই অপ্রতুল।

প্রতিমাসে অন্তত এক কার্টন করে ওষুধ সরবরাহ প্রয়োজন বলেও জানান তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এটিএম মোকারম হোসেন জানান, গত ২০ জুন উপজেলার ৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দুই কার্টন করে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে এক কার্টন করে মজুদ রাখা হয়েছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।