ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার ভোরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “অধ্যাপক পিয়াস করিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ আমরা সারাদেশে শোক দিবস পালন করছি। সব জেলা ও উপজেলায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।”
এছাড়া পিয়াস করিমের জন্য কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য এই টেলিভিশন আলোচককে অনেকে ‘জামায়াতে ইসলামীর এজেন্ট’ বললেও বিএনপির চোখে তিনি ‘স্বাধীনচেতা, আপসহীন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী’ মানুষ।
গণজাগরণ আন্দোলন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার বক্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করে। এজন্য বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিরোধিতার মুখে তার মরদেহ ‘শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য’ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে তার পরিবার।
“ধানমন্ডির বাসায় পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়- স্বজনরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন,” বলেন পিয়াসের ভাই লোটাস করিম।
এরপর তার মরদেহ নেয়া হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। জুমার নামাজের পার সেখানে তার জানাজা হয়। বিকালে বনানী কবরস্থানে পিয়াস করিমকে দাফন করা।
গত সোমবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পিয়াস করিম। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে আত্মীয়-স্বজনদের দেশে ফিরে আসার জন্য কয়েকদিন মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে ছিল।