সৈয়দপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নির্বাচনের ভোট গণনার সময় এক প্রার্থী ও তার সমর্থকরা জোর করে গণনা কক্ষে ঢুকতে চায়। এ সময় বাধা দিলে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
“ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত দে মোহন্তের নির্দেশে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
সংঘর্ষে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানাতে পারেননি ওসি ইসমাইল।
আহত অন্যদের মধ্যে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান ও শ্রমিক নেতা সাঈদ আহমেদকে সৈয়দপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃত্ব বাছাইয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হয়। সন্ধ্যার পর শুরু হয় ভোট গণনা।
এর এক পর্যায়ে ওই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ও তার সর্মথকরা গণনা কক্ষে জোর করে ঢুকতে গেলে ওই সংঘর্ষ হয়।
নীলফামারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত দে মোহন্তও বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সংঘর্ষের কারণে তিন ঘণ্টা ভোট গণনা বন্ধ ছিল বলে জানান ওই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা রফিজুল ইসলাম খাজা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাতে সোয়া ১টায় আবার ভোট গণনা শুরু হয়। শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়নি।