‘ভয়-ভীতিতে কমেছে সাঈদীর সাজা’

অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর চূড়ান্ত রায়ের ক্ষেত্রে বিচারকদের মাঝে অর্থ-ভয়ভীতিসহ অনেকগুলো বিষয় কাজ করেছিল বলে এই জামায়াত নেতার সাজার মাত্রা কমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2014, 07:40 PM
Updated : 16 Oct 2014, 07:40 PM

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা আপিলের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়ার বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একটি আলোচনা সভায় অংশ তিনি একথা বলেন।

সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের দেওয়া রায় নিয়ে এই মন্তব্যের সঙ্গে মুনতাসীর মামুন বলেন, “তবুও আমরা সাঈদীর রায় মেনে নিচ্ছি।”

রায়ের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, “অনেকগুলো ব্যাপার ঘটেছিল যেগুলো সাংবাদিকরা জানেন। আমি এখানে বলতে চাই না। অর্থ থেকে শুরু করে, ভয়ভীতি থেকে শুরু করে অনেকগুলো বিষয়...।

ফাইল ছবি

“একজন বিচারককে যখন নাকি ট্রাইব্যুনালে দেওয়া হয়েছিল, তিনি যেতে রাজি হননি। ঠিক তাকেই যখন আবার একই মামলায় আপিল বিভাগে দেওয়া হলো তিনি সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাহলে সমস্যাগুলো একারণেই হচ্ছে।”

অপিল বিভাগে বিচারকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এর মধ্যে একজন বিচারকের রায়ে সাঈদীকে খালাস দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনতাসির মামুন বলেন, “১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ হয়েছিল, সেজন্যই সাঈদীর বিচার হচ্ছে। আপনি সাঈদীকে কয়েকটি চার্জ থেকে খালাস দিতে পারেন, কিন্তু সাঈদী কোনো অপরাধ করেননি, এটা বলা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। সাজা কমবে, কিন্তু তিনি খালাস দিতে পারেন না।”

যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেটগুলো জব্দ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু সাঈদী অভিযুক্ত, তাই তার ক্যাসেট বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। পাবলিক পরিবহনে যুদ্ধাপরাধীর বক্তব্য প্রচার করা যাবে না।”