বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার স্মারক ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধনের সময় এ ঘোষণা দেন তিনি।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সরকারি ৩৯টি পরিত্যক্ত ভবন ভেঙ্গে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
“জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে এই স্থানগুলোতে ১৫তলা ভবন নির্মিত হবে। এসব প্রকল্পে আইনজীবীরা আবেদন করলে একটি নির্দিষ্ট কোটার ভিত্তিতে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।”
আদালত এলাকার বদিউল আলম ফুট ওভার ব্রিজ সংস্কারের কথাও জানান গণপূর্তমন্ত্রী।
মন্ত্রীর ঘোষণার পর আইনজীবী সমিতির নেতারা চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন গৃহায়ন প্রকল্পে আইনজীবীদের জন্য কোটা রাখার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে প্রকৃত আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করছে।
স্বাগত বক্তব্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ বলেন, এক কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন আদালত ভবনের সাথে আইনজীবী ভবনের সংযোগস্থাপনকারী নুরুচ্ছফা তালুকদার ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে।
“অল্প কিছু দিনের মধ্যে আদালত এলাকায় আইনজীবীদের চেম্বার করার জন্য শাপলা ও দোয়েল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।”
প্রয়াত অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদের বাবা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নুরুচ্ছফা তালুকদারের সহধর্মিণী কামরুন নাহার বেগম।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, মহানগর দায়রা জজ ওবায়দুস সোবহান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রেজাউল করিম, মুখ্য মহানগর হাকিম মশিউর রহমান চৌধুরী, মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সি মশিউর রহমান।