অগ্রসর হচ্ছে ‘হুদ হুদ’, সাগরে সতর্কতা সংকেত

ঘূর্ণিঝড় ‘হুদ হুদ’ সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে সরে গিয়ে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2014, 02:23 PM
Updated : 10 Oct 2014, 02:23 PM

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার এক বুলেটিনে বলেছে, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে পশ্চিম উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বেলা ১২টায় ‘হুদ হুদ’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এ সময় ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্য করা গেছে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ১২ অক্টোবর নাগাদ ঝড়টি বিশাখাপত্তম ও গোপালপুরের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

গত বছর অক্টোবর-নভেম্বরে পাইলিন, হেলেন ও লহর নামে তিনটি ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানে।

এর আগে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে উড়িষ্যায় তাণ্ডব চালিয়ে যায় একটি সুপার সাইক্লোন, যাতে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে ‘হুদ হুদ’ নামটি প্রস্তাব করে ওমান।

হুদহুদ আরবের একটি পাখি, যার মাধ্যমে নবী সুলাইমান (আ.) সেবার রানী বিলকিসকে পত্র পাঠাতেন।