জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- হেলাল উদ্দিন এবং মীর হোসেন।
অভিযোগপত্রে নাম না থাকায় বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ান মোহাম্মদ শফি উল্লাহ তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ আবুল হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একরাম হত্যার একশ’ দিন পর গত ২৮ অগাস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ হত্যায় জড়িত ৫৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে হেলাল ও স্বপনের নাম না থাকায় দুপুরে বিচারক তাদের জামিন দেন।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, “একরাম হত্যায় পুলিশ ও র্যাব এ পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে ১৬ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তার ৩২ জনের মধ্যে অভিযোগপত্রে ২৭ জন আসামির নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”
এদিকে, হত্যার সঙ্গে জড়িত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিস্টার ও রুটি সোহেলসহ পলাতক আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২০ মে ফেনী শহরে যে এলাকায় প্রকাশ্যে একরামকে গুলি চালানোর পর গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর নিহতের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদি হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।