এরা হলেন- আবুল খায়ের (৪৬),আজিজুল হক (২৯),সোহাগ মিয়া (২৮), সোহেল রানা (২৯), শাহ আলম (২৭), শহিদুল ইসলাম (২৯), ইয়াসিন আরাফাত (১৯) ও সোহাগ মাসুদ (২২)।
এরা দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহমুদ নাসের জনি জানিয়েছেন। তিনি অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার জাল বাংলাদেশি নোট পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় রুপি, সৌদি রিয়াল ও ইউএস ডলার তৈরির যন্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার খায়ের আগেও একই অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিনে বেরিয়ে তিনি পুনরায় এই কাজে জড়িয়ে পড়েন।
ঈদকে সামনে রেখে এই চক্র প্রতিদিন ৫ লাখ জাল টাকা তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
“এরই মধ্যে কিছু টাকা ছড়িয়েও গেছে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে,” বলেন মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তিনটি ধাপে জাল টাকা বাজারে ছড়ানো হয়। একদল এক লাখ টাকা তৈরি করে তা ২০ হাজারে দ্বিতীয় দলের কাছে বিক্রি করে। সে দলটি ৪০ হাজার টাকায় তা আরেক দলের কাছে বিক্রি করে। সে দলটি বাজারে টাকাগুলো চালিয়ে দেয়।
পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা সনাক্তে একাধিক যন্ত্র থাকবে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে টাকা সনাক্তের প্রয়োজন হলে পানি বা থুথু দিয়ে টাকা ঘসে দেখা যেতে পারে। যদি টাকার রং বদলে যায় বুঝতে হবে টাকাটি জাল।”
সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান, অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।