বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, “যাত্রীরা একেবারে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে ফিরতে পারবেন-আমি এমনটা বলবো না। তবে সড়কের জন্য কারো কোনো ভোগান্তি হবে না। মহাসড়কের ধীরগতির কারণে অনেকেরই গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে। এটি হচ্ছে পশুবাহী ট্রাকগুলোর কারণে।
“অনেক সময় পশুবাহী ট্রাকগুলোর ফিটনেস ঠিক না থাকায় সেগুলো সড়কেই বিকল হয়ে পড়ছে। আর এ কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে।”
বর্তমানে মহাসড়কের কোথাও কোনো সমস্যা নেই-দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “টানা ১৫ দিনের বর্ষণের কারণে মহাসড়কগুলোর অনেক স্থানে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এ মুহূর্তে কোনো সড়কেরই বেহাল অবস্থা নেই।”
‘ভুত’ তাড়াতে চেষ্টা করছেন জানিয়ে এজন্য আরো সময় চান ওবায়দুল কাদের।
“আমি চেষ্টা করছি, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি তিন বছর হলো। আমাকে অন্তত পাঁচটি বছর সুযোগ দিন,” বলেন তিনি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বেহাল দশার বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “মহাসড়কের ফোরলেনের কাজ চলছে। আগামী মার্চের পরে ওই সড়কে কোনো সমস্যা থাকবে না। যাত্রীদের অনুরোধ করবো, এবার একটু কষ্ট করুন। আগামীতে আর কোন সমস্যা থাকবে না।”
কোথাও কোথাও সড়কের উপরে হাট বসার কথা স্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সড়কের উপরে হাট বসেছে- এটা ঠিক। কিন্তু এর সংখ্যা অন্যান্য বারের চেয়ে অনেক কম।
“আর কিছু কিছু স্থানে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা নিয়ম না মেনে হাট বসাতে সহযোগিতা করেছেন। সংসদ সদস্যরা যদি নিজেরাই নিয়ম না মানেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আইন সবার জন্যই সমান।”
ঈদ ও পূজায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কের পাশে পশুর হাট বসতে না দিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়ার কথা গত মাসের মাঝামাঝি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঈদ ঘিরে পশুবাহী ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি রাজধানীতে ঢুকতে দেয়া হবে না বলেও সে সময় জানিয়েছিলেন তিনি।