বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে নর্থশোর ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
চট্টগ্রামের সন্তান ড. মনসুর খান বেশ ক’বছর যাবত বোনম্যারো ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী নাইমা খান, ছেলে ডা. ইভান খানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
২০১২ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিক্ষাবিদ নিউ ইয়র্কে নতুন প্রজন্মকে সেরা স্কুল-কলেজে ভর্তির পরামর্শ প্রদানের প্রতিষ্ঠান ‘খানস টিউটোরিয়ালের’ প্রধান ছিলেন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, বুধবার নিউ ইয়র্ক সময় বাদ মাগরিব কুইন্সের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে তার জানাজ অনুষ্ঠিত হবে। তাকে সমাহিত করা হবে লং আইল্যান্ডে ওয়াশিংটন মেমরিয়াল গোরস্থানে, বৃহস্পতিবার।
মৃদুভাষী ড. খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পরও বছরখানেক আগে পর্যন্ত ড. খান জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স সম্পন্নকারী ড. খান নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন নব্বইয়ের দশকে। ১৯৯৪ সালে তিনি খান’স টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠা করেন।