বুধবার চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনারৈ বিচারক রেজা তারিক আহমদের আদালতে তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল।
হিমুর বাবা প্রবীর মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্গা পূজা চলছে, অথচ ছেলে ঘরে নেই। ছেলেকে ঘিরেই তার মায়ের পূজার সব আয়োজন হত। কয়দিন ধরে সে শুধু কান্নাকাটি করছে।
রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার পূজা শুরুর দিন থেকেই হিমুর মা অসুস্থ। তাই আজ তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি বলে প্রবীর মজুমদার জানান।
বুধবার রাতে প্রবীর মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে নিয়ে একজন চিকিৎসকের চেম্বারে ছিলেন তিনি।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় শাহ সেলিম টিপুর বাড়ির ছাদ থেকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় হিমুকে। আহত অবস্থায় ২৬ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ২৩ মে তার মৃত্যু হয়।
হিমু খুনের ঘটনায় তার মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এ মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ, তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।
অভিযোগ গঠনের শুনানি চারবার পিছিয়ে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেয়ার প্রায় দেড় বছর পর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গত ২১ জুলাই এক আসামির আবেদনে মামলার কার্যক্রমে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। এরপর চট্টগ্রাম আদালতে মামলাটির বিচার কাজ থেমে যায়।
এরপর গত ৭ অগাস্ট ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে গত ২৭ অগাস্ট আবার মামলাটির শুনানি শুরু হয়।
এ মামলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন হিমুর বাবা প্রবীর মজুমদার। এরপর আসামিদের আইনজীবীরা তাকে কয়েকদিন জেরা করেন।