চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ওবায়দুস সোবহানের আদালতে বুধবার এ আবেদন করা হয়।
আদালত আবেদন গ্রহণ করে আগামী ৫ নভেম্বর শুনানির দিন রেখেছে। পাশাপাশি রিভিশন আবেদনে দুই আসামি এবং রাষ্ট্রপক্ষকেও পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিদের অব্যাহতি দেয়ার আদেশটি পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিশন আবেদন করেছি। অব্যাহতির আদেশটি আইনত অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলেরও আবেদন করেছি। হাকিম আদালত এ ধরনের আদেশ দিতে পারে না।”
এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি করে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মশিউর রহমান চৌধুরী গত ২৭ অগাস্ট দুই আসামি সুরমান আলী ও জাকির হোসেনকে অব্যাহতির আদেশ দেন ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০ মে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে রোগী আমিনুল ইসলামের মলদ্বারে অস্ত্রোপচার করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জন সুরমান ও একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক জাকির হোসেন।
সে সময় শরীরে সুঁই রেখেই সেলাই করে দেয়া হয়। রোগীর ব্যাথা না কমায় দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার করেন দুই চিকিৎসক।
এরপরও ব্যাথা না কমায় কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে আমিনুলের শরীরে সুঁই পাওয়া যায়।
দেশে ফিরে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন আমিনুলের মা দেলোয়ারা বেগম। আদালত তা আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য পাঁচলাইশ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
ওই থানার এসআই রুহুল আমিন ২০১৩ সালের ৩০ মে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর গত বছরের ৩ জুন আসামি সুরমান আলীর জামিন বাতিল করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
এর প্রতিবাদে পরদিন থেকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়শেন (বিএমএ) এবং চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত ও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যান।
দুই দিন পর ৬ জুন সুরমান আলী আদালত থেকে জামিন পেলে চিকিৎসকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
আসামিপক্ষের আবেদনে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট নয় দফা এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানো হয়।
সবশেষে ২৭ অগাস্ট শুনানি শেষে আসামি দুই চিকিৎসকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় হাকিম আদালত।