তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের অগ্রগতিতে অবদানের জন্য ‘পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স’ ক্যাটাগরিতে ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেল বাংলাদেশ।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় মেক্সিকোর গুয়াদালাহারা শহরে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে (ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি-ডব্লিওসিআইটি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (ডব্লিউআইটিএসএ) ৮০টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনী কাজের জন্য এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।
পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স, প্রাইভেট সেক্টর এক্সিলেন্স, ডিজিটাল অপারচ্যুনিটি ও সাসটেইনেবল গ্রোথ ক্যাটাগরিতে প্রতি দুই বছর অন্তর এ পুরস্কার দেয়া হয়।
পুরস্কার গ্রহণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়ে আমাদের একটি আধুনিক ও স্বনির্ভর জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রেরণা যুগিয়েছেন, এ পুরস্কার তার সে প্রেরণাদায়ী দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশের গন্তব্যে আমরা প্রতিনিয়তই এগিয়ে যাচ্ছি। তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেয়ায় এ পুরস্কার বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বিজয় বলে আমি মনে করি।”
এর আগে গত ১০ জুন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় আর্ন্তজাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা (আইটিইউ) বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পকে ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিওএসআইএস)ক্যাটাগরিতে ডব্লিওএসআইএস+১০ পুরস্কার দেয়। ই-সেবায় অনন্য অবদান এবং জনগণের দোরগোড়ায় প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেয়ায় এটুআই প্রকল্পকে ওই পুরস্কার দেয়া হয়।