এ সময় উপজেলার ঠেঙ্গার চরের কাছ থেকে অন্তত চারটি নৌকা ও মাছসহ ৩০ জেলেকে অপরহরণ করে জলদস্যুরা।
অপহৃত জেলেরা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট, টাংকির বাজার, নলচিরা, বৌবাজার এবং সুবর্ণচর ও রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানান তিনি।
অপহৃতদের মধ্যে -হাতিয়ার মাঈন উদ্দিন বেপারীর নৌকার কালু মাঝি ও খোকন মাঝি, আমজাদ মাঝির নৌকার জিয়া উদ্দিন মাঝি, এনায়েত বেপারীর নৌকার আক্তার মাঝি, ফারুক বেপারীর নৌকার ছায়েদ মাঝি, নূরনবী বেপারীর নৌকার কেফায়েত মাঝি, মেঘনা ফিসারিং বোটের সুমন মাঝি, সুবর্ণচরের কাইউম বেপারীর নৌকার জাকের মাঝি, ফরিদ বেপারীর নৌকার জামাল মাঝি, এমলাক বেপারীর নৌকার রশিদ মাঝি ও রামগতির হেলাল বেপারীর নৌকার মাসুদ মাঝির পরিচয় জানা গেছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে মেঘনা নদীর ঠেঙ্গার চর থেকে ৩০ জন জেলেদেরকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। বিষয়টি হাতিয়া কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এ এম রাহাদুজ্জামান জানান, মেঘনায় জেলেদেরকে অপহরণের খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি দল এ ব্যাপারে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
এ এলাকায় লক্ষীপুরের রামগতির জলদস্যু ভুট্টু বাহিনী আগেও জেলেদের অপহরণে জড়িত থাকায় এবারও এ বাহিনীকেই সন্দেহ করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।