পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যবস্থা পদক্ষেপ নিল নয়া দিল্লি।
তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এনআইএর তিন কর্মকর্তা এরইমধ্যে কলকাতা পৌঁছেছেন।
সম্প্রতি নয়া দিল্লি সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে বলেন, বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালে ‘বড় ধরনের নৈরাজ্য’ ঘটাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক আহমেদ হাসান ইমরানের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর কাছে সারদা গ্রুপের অর্থ গেছে।
আহমেদ হাসান ইমরান দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ মৌলবাদী সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার (সিমি) পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে সংগঠনটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন তিনি।
বলা হয়, ইমরানই পশ্চিমবঙ্গে লেখক তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাদের বিচারের বিরুদ্ধে গত বছর কলকাতায় বিক্ষোভ কর্মসূচিও তার উদ্যোগে হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
“বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা অভিযোগ এবং তার পক্ষে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তা আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এনআইএকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে,” বলেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, “আমাদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে হাসিনা সরকার খুবই সচেতন এবং তাদের বিষয়েও আমরা অমনোযোগী হতে পারি না”
সারদার অর্থ কেলেঙ্কারি তদন্তের দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ও এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টোরেটের (ইডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এরইমধ্যে সাক্ষাৎ করেছেন এনআইএ কর্মকর্তারা।
“সারদার অর্থ কার হাত থেকে কোথায় গেছে এবং সেখানে কিছু রাজনীতিকের কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখছে তারা,” বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।