নিহত আবদুস সাত্তারের (৪৫) বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তিনি যশোরের বেনাপোলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কাজ করতেন।
ওই মোটর সাইকেলের আরেক আরোহী সুমনকে (৩০) যশোরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বেনাপোলের নমাজগ্রামের সদর আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সৈয়দ বায়েজিদ জানান, সাত্তার মঙ্গলবার বিকালে বেনাপোলের একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মোটরসাইকেল করে বাগআঁচড়া সাতমাইলে কোরবানির পশুর হাটে যাচ্ছিলেন।
পথে আরেকটি মোটরসাইকেল অনুসরণ করলে ছিনতাইকারী ভেবে সাত্তার বেপরোয়াভাবে চালাতে শুরু করেন এবং শার্শার জামতলা সড়কের বেনেখড়ি ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনায় পড়েন।
“সামনের মোটরসাইকেলটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পেছনের মোটরসাইকেলের আরোহীদের ছিনতাইকারী বলে মনে হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে কিছু সময় হট্টগোল করে।"
এ সময় গুলির শব্দও শোনা যায় বলে দাবি করেন তিনি।
তবে পেছনের বাইকে ছিনতাইকারী ছিল কি না- তা নিশ্চিত করতে পারেননি এসআই বায়েজিদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনাকবলিত মোটর সাইকেলের আরোহীদের মধ্যে একজনের কাছে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ও অন্যজনের কাছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিল। ওই টাকা পুলিশ উদ্ধার করেছে।”
গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাত্তারের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।