র্যাবের হাকিমের নেতৃত্বে মঙ্গলবার চালানো ওই অভিযানে ভেজাল মসলা তৈরির অপরাধে তিনজনকে একবছর করে করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
দণ্ডিতরা হলেন- সুমন মিয়া (২২), গিয়াস উদ্দিন (৫০) ও মনির হোসেন (৩২)। তাদের প্রত্যেককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এছাড়া কাওছার আলী (২৩), আব্দুল জলিল (১৯), খাজা মিয়া (২৯), মনির হোসেন (২৯) ও দুলালকে (৪০)এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারওয়ান বাজারের হাসিনা মার্কেটের মসলা পট্টিতে চালানো এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাকিম এএইচএম আনোয়ার পাশা।
তিনি বলেন, ভেজাল গুঁড়ো মসলা তৈরি করার অপরাধে বিক্রেতাদের সাজা দেওয়া হয়।
ঘাসের বীজ এবং পাখীর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত ছোট কাউনের গুঁড়োয় ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মসলা তৈরি হত বলে আদালতের অভিযানে ধরা পড়ে।
দণ্ডিত গিয়াস উদ্দিন ১৫ বছর ধরে ভেজাল মসলা তৈরি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন।
সুমন এন্টারপ্রাইজের মালিক সুমন মিয়া কাপড়ের রং মসলায় মেশানো কথা স্বীকার করেন।
আনোয়ার পাশা বলেন, অভিযানে প্রায় দুইশ মন ভেজাল মসলা ধ্বংস করা হয়।