ঢাকার পল্লবীতে স্কুলছাত্র খুন

রাজধানীর পল্লবীতে নির্মাণাধীন একটি ভবনে এক স্কুলছাত্রের লাশ পাওয়া গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2014, 06:14 PM
Updated : 30 Sept 2014, 06:17 PM

স্থানীয় পর্যায়ে মারামারিকে কেন্দ্র করে মেহেদী হাসান (১৬) নামে ওই কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার স্বজনদের অভিযোগ।

পল্লবীর ১১ নম্বর লাইনের সি ব্লকের ১৪ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকত মেহেদী। বাসার পাশেই একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে মঙ্গলবার বিকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মেহেদী মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা মোশাররফ হোসেনের কাপড়ের দোকান রয়েছে মিরপুর ১১ নম্বরের মোহাম্মদিয়া মার্কেটে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে মেহেদী ছিল বড়।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্ধুদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে মেহেদীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি।”

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছেন বলে তিনি জানান।

মেহেদীর মামা সোলায়মান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুপুরে আমার আরেক ভাগিনা অনিক ফোনে জানায়, পল্লবীর ১০ নম্বর লাইনের কিছু ছেলের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এজন্য ওই মহল্লার ছেলে ওলি ও হাসিবরা মেহেদীর বন্ধু আবীরকে মারধর করে।

“আবীরকে মারধরের পর তারা মেহেদীকে খুঁজতে থাকে। এরপর তাদের একজন মেহেদীকে ধরে নিয়ে পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই পুলিশ মেহেদীর লাশ উদ্ধার করে।”

মেহেদীর মামাত ভাই মিরপুর বাংলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিক বলে, “মেহেদী ভাইয়াকে ওলি, হাসিব ও সাদ্দামরা ধরে একটি ওই বিল্ডিংয়ে নিয়ে মারধর করে। সেখানেই ভাইয়া মারা যান।”

পল্লবী থানার ওসি মো. জিয়াউজ্জামান বলেন,লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মেহেদীর গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই, তবে তার গলা ফোলা। এ থেকে পুলিশের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।