ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে, যারা একই বাসায় থাকতেন।
সুজন খুলনা জেলার রুপসা থানা এলাকার আসলাম মোল্লার ছেলে। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, আশরাফুল ১৫০, আমবাগ এলাকার হাবিবের বাড়ির চতুর্থ তলার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ড্যাফিডল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করত। তার সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও তিনজন মিনার, আকাশ ও রাকীব একই রুমে থাকত।
এদের মধ্যে মিনার চারুকলা বিভাগে, আকাশ নৃবিজ্ঞান ও রাকীব বাংলা বিভাগে লেখাপড়া করে। তারা তিনজনই ৪২তম ব্যাচের ছাত্র।
পুলিশ মিনার ও আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
জাবি’র নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী সাইফ ইমতিয়াজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, বিকেলে নিজ কক্ষে বন্ধু মিনার ও রাকিবের সঙ্গে গল্প করছিল আশরাফুল। হঠাৎ করেই দুই যুবক তাদের কক্ষে ঢুকে। পরে মিনার ও আকাশ পাশের রুমে গেলে ওই দুই যুবক ঘরের দরজা আটকে আশরাফুলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে দরজা খুলে আশংকাজনক অবস্থায় আশরাফুলকে জাবি অ্যাম্বুলেন্সে করে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এখনও হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। কারা জড়িত তাদেরকেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিহতের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।