অন্যরকম বাজার ‘ঢাকের হাট’

ঢোল, ড্রাম, করতাল, খঞ্জনা, সানাই, কর্নেট, কাঁশি, মঞ্জুরীর পাশাপাশি নানা ধরনের বাঁশি নিয়ে হাজির কয়েকশত বাদক-বাঁশুরিয়া। উদ্দেশ্য কেউ যদি মণ্ডপে বাজানোর জন্য ভাড়ায় নেন তাদের।

মারুফ আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2014, 03:18 PM
Updated : 30 Sept 2014, 03:18 PM

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পুরান বাজারে প্রতিবছরই বসে এই হাট, যা ‘ঢাকের হাট’ নামে পরিচিত। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় পাঁচশ বছর ধরে এই হাট বসছে একই জায়গায়, একই নিয়মে।

প্রতিবছরের মতো এবারও দুর্গাপূজা উপলক্ষে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে হাট।

এবার মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আনুমানিক তিন শতাধিক বাদক নানা ধরনেরর বাদ্য-বাজনা নিয়ে হাজির হয়েছেন হাটে।

মঙ্গলবার ঢাকের হাট ঘুরে দেখা যায়, বাদক দলের খোঁজে আসা পূজা আয়োজকদের মন জয় করতে চলছে প্রাণান্তকর চেষ্টা। সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে নিজ নিজ বাদ্য বাজানোর মাধ্যমে দক্ষতা প্রমাণে চলছে কসরত।
 

আর তাই শত শত বাদকদলের একত্রে বাদ্য পরিবেশনার সুর মূর্চ্ছনায় মুখরিত হয়ে পড়েছে এখানকার পরিবেশ। এই সুযোগে স্থানীয় বাসিন্দারাও বাদ্য-বাজনার সুর ধ্বনি উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন ঢাকের হাটে।

মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা শ্রী রাম দাশ রঞ্জন দাশ বলেন, “আমরা বংশ পরম্পরায় এই হাটে আসছি। পারিশ্রমিকের বনি-বনা হলে এখান থেকে আমরা দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে বাদ্য বাজানোর জন্য চলে যাই।”

ময়মনসিংহ থেকে আগত নীলু চন্দ্র দাশ বলেন, “হাটে ঘুরে ঘুরে বাদকদের বাজানো পরখ করছি। পছন্দ হলে এবং টাকা-পয়সায় মিল পড়লে মণ্ডপে বাজানোর জন্য বাদক দল নিয়ে যাব।”

কটিয়াদী পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পাঁচশত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঢাকের হাট নিয়ে কটিয়াদীবাসী গর্বিত।