মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে অফিসের গাড়িতে করে কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নগরকান্দা বাজার সংলগ্ন পাম্পের মোড়ে হামলার শিকার হন তিনি।
আহত চেয়ারম্যান শাহীন বলেন, নিজ গাড়িতে করে উপজেলা কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলাম। পথে আওয়ামী লীগ সমর্থক মিঠু ও সেলিম তালুকদার এবং তাদের সহযোগীরা চাকু ও লাঠিসোটা নিয়ে গাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় তাকে ও তার গাড়িতে থাকা লোকজনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, “শাহীন চেয়ারম্যানকে আমরা এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। তার পরও তিনি এলাকায় প্রবেশ করায় দলের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে লাঠি নিয়ে তাকে তাড়া করেছে, লাঠির দুই একটি আঘাতও তাদের লাগতে পারে।”
তবে কুপিয়ে জখম করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুইতিন জন সহযোগীকে নিয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান, মিঠু, সেলিম তালুকদারসহ কয়েকজন নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানকে হামলা করে। এসময় চেয়ারম্যানসহ ৩/৪ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর শহরে পাঠায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন, তার চাচাতো ভাই তপু ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আলমগীর হোসেনকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জামিল হাসান বলেন, “আহত চেয়ারম্যান শাহীন অভিযোগ জানাতে আমার দপ্তরে এসেছিলেন। আমি তার কথা শুনেছি, তিনি লিখিত অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”