কাজল মিয়া হত্যাকাণ্ডের এই মামলায় মঙ্গলবার নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুল করিম আসামিদের উপিস্থতিতে এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মগুয়া গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে শাহীন (৩৬) এবং নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আমলাব গ্রামের আলী হোসেন (২৫)।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আক্তার হোসেন (২৫) নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, আলী হোসেন ও আক্তার হোসেন কাতার যাওয়ার জন্য একই গ্রামের অটোরিকশা চালক কাজল মিয়ার মাধ্যমে আদম ব্যাপারী শাহিন মিয়াকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দেয়। টাকা নিয়ে শাহিন কাতার পাঠাতে টালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে আক্তার ও আলী হোসেন অটোরিকশা চালক কাজলকে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে এদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়।
২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি ভিসা দেয়ার কথা বলে কাজলকে ওই এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায় আদম ব্যপারী শাহিন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় কাজলের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তার পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ১১টায় বেলাব উপজেলার উজিলাব গ্রামের মোক্তার মিয়ার কবরের পাশে কাজলের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাই গোলাপ মিয়া বাদী হয়ে শাহিন, আক্তার ও আলী হোসেনকে আসামি করে বেলাব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. নাসিম।
২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায়িআদালত আসামি শাহিন ও আলী হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি ন ম রুহুল আমিন, আসামি পক্ষে ছিলেন সৈয়দ বদিরুজ্জামান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।