শৈলকূপা থানার এসআই এমদাদ হোসেন জানান, সোমবার রাতে উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজেদা খাতুন সাজু (৫০) বাগুটিয়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার ছেলে জিন্নাহ আলমকে (৩০) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছেলের পিতৃপরিচয়ের স্বীকৃতির দাবি করে রোববার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সাজেদা। সেখানে তিনি শৈলকূপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাট ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামকে নিজের স্বামী ও ছেলের বাবা বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
এরপর সোমবার রাতে নিজের বাবার বাড়িতে ‘দুর্বৃত্তের’ হাতে খুন হন সাজেদা।
এসআই এমদাদ বলেন, “মা ও ছেলে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ১০- ১২ জন দুর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে চোখ-মুখ বেঁধে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।”
এ সময় লোকজন টের পেয়ে চেঁচামেচি শুরু করলে দুর্বৃত্তরা জিন্নাহকে কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় পরিতোষ চৌকিদারের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।”
আর মঙ্গলবার সকালে গ্রামের কলা বাগানের ভেতরে সাজেদা খাতুনের লাশ পাওয়া যায় বলে এসআই এমদাদ জানান।
তিনি বলেন, “তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কলা গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে গেছে।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহে মর্গে পাঠিয়েছে।”
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে এসআই এমদাদ জানান।