‘ভেজাল প্রতিরোধে দরকার জনসচেতনতা’

শুধু আইন করে ভেজাল প্রতিরোধ সম্ভব নয় মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এজন্য দরকার নাগরিক সচেতনতা।

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 06:32 PM
Updated : 29 Sept 2014, 06:32 PM

সোমবার পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভেজাল প্রতিরোধ বিষয়ক এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এক সময় যুব সমাজ ফেন্সিডিল খেত। পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিরোধের কারণে এখন ফেন্সিডিলের কাহিনী প্রায় শেষে। মাদক সেবকরা এখন ধরেছে ইয়াবা। ইয়াবা এতোই ছোট যে, খুবই সহজেই সরবারাহ করা যায়।

“সুতরাং মাদক ও খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সমাজ সচেতনতা আগে প্রয়োজন। আইন প্রশাসন তো আছে।”

প্রতিমন্ত্রী তার ছোট বেলার উদাহরণ টেনে বলেন, “ছোট বেলায় কেউ সিমেন্টে মাটি মেশালে তাকে সিমেন্ট চোর বলতো। পরে সেই সিমেন্ট ব্যবসায়ীকে লজ্জায় সিমেন্ট ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসা শুরু করতে হতো

“এখন যারা খাদ্যে ভেজাল দেয়। তাদেরকে জনগণ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে যে, এই ব্যক্তি খাদ্যে ভেজাল দেয়। আমাদের তো প্রশাসন রয়েছে। ভেজাল বিরোধী অভিযানের মাধ্যমে সাজা-জরিমানা হচ্ছে। তবে আগেই জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ভেজাল চল্লিশের দশকেও হতো। তবে তখন দুধ, তেল ও ঘি এই তিনটি জিনিস ভেজাল হতো। তবে বর্তমানে কে কারা আগে কতো দ্রুত কতো বড়লোক হতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় নেমে সবকিছুতেই ভেজাল করছে।

“আসলে ভেজাল রয়েছে আমাদের মনে। টাকাই বর্তমানে মাপকাঠি। আগে দুধে পানি মেশানো অপরাধে সেই দুধ বিক্রেতার মাথায় পানি মেশানো দুধ ঢেলে দেওয়া হতো। তিন মাস সেই দুধ বিক্রেতা লজ্জায় ঘর থেকে বের হতো না।”

তার মতেও, সচেতনতা ছাড়া খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে রাজউকে কর্মরত নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রোকন উদ দৌলাও উপস্থিত ছিলেন।