কবি নূরুল হুদার জন্মদিনে আলোচনা-সঙ্গীতানুষ্ঠান

জাতিসত্তার কবি হিসাবে পরিচিত মুহম্মদ নূরুল হুদার ৬৫তম জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘মুহম্মদ নূরুল হুদা জন্মবার্ষিকী উদযাপন পর্ষদ’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 05:00 PM
Updated : 29 Sept 2014, 05:00 PM

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর; উদ্বোধন করবেন অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ।

১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলার পোকখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। কবিতার পাশাপাশি কথাসাহিত্য, মননশীল প্রবন্ধ, লোকসংস্কৃতি, নন্দনতত্ত্ব ও অনুবাদ সাহিত্যেও রয়েছে তার বিচরণ।

ইংরেজি ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার কবিতা।

বাংলা একাডেমির এই ফেলো, আমেরিকান ফোকলোর সোসাইটি, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর ফোক ন্যারেটিভ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র থাকা অবস্থায় ‘অধোরেখ’ সংকলন সম্পাদনা করে সাহিত্যাঙ্গনে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নূরুল হুদা।

বাংলা একাডেমির সাবেক এই পরিচালকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- জন্মজাতি, মৈনপাহাড়, ব্যাঙকুমার, চাঁদের বুড়ো চাঁদের বাড়ি, ছোটদের বেগম রোকেয়া, ছোটদের মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ছোটদের রবীন্দ্র জীবনী, ছোটদের রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, দেখা হলে একা হয়ে যাই, রাজার পোশাক, রবীন্দ্র প্রকৃতি ও অন্যান্য, সাত ভাই চম্পা, তুমি যদি জলদাস আমি জলদাসী, শুক্লা শকুন্তলা, আমি একটি খাস প্রজাপত্র চাই, শোভাযাত্রা দ্রাবিড়ার প্রতি, মাটির নিচে, কাঠ কয়লা হাজার বছর কাতর, আমরা তামাটে জাতি, বার বছরের গল্প, তেলাপোকা ইত্যাদি।

সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৭ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বিশেষ সম্মাননাও লাভ করেন।

এছাড়া ১৯৮৩ সালে যশোর সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), ১৯৮৩ সালে আলাওল পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে কবি আহসান হাবীব কবিতা পুরস্কার,  কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, ২০০৪ সালে সুকান্ত পুরস্কার পেয়েছেন জাতিসত্তার কবি।

নূরুল হুদা বাংলাদেশের লেখকদের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের’ অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।