শিক্ষার মান নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মধ্যেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কাজের জন্য যুগ্মসচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের জন্য জেলার নাম নির্দিষ্ট করে সোমবার অফিস আদেশ জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়েছে, “শিক্ষার মান উন্নয়নে সমস্যা চিহ্নিত ছাড়াও কর্মকর্তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যালয়-অফিসে উপস্থিতির বিষয়েও প্রতিবেদন দেবেন।”
কর্মকর্তারা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, পিটিআই, জেলা পর্যায়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, ক্লাস্টার এবং অফিস ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে সমস্যা চিহ্নিত করবেন তারা।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবদের নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে প্রতিমাসে দেশের যেকোনও দুটি বিভাগীয় অফিস এবং দুটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে।
আর দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিবদের প্রতিমাসে নির্ধারিত জেলায় কমপক্ষে দুটি বিদ্যালয় এবং একটি দপ্তর পরিদর্শন করতে হবে।
এছাড়া উপ-সচিবদের নূন্যতম দুটি বিদ্যালয় ও একটি অফিস এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ও প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের মাসে দুটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট অফিস পরিদর্শন শেষে সমস্যা চিহ্নিত করে তা প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়ের সচিব অথবা সমন্বয় ও মনিটরিং অধিশাখার উপ-সচিবের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
উপ-সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং এদের নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাদের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ট্যুর ডায়েরি দাখিল করে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনে যেতে হবে বলেও আদেশে উল্লেখ রয়েছে।