চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের নেতারা সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ‘পরিচয় গোপন করে’ আদালতে রিট আবেদন করা, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুর বিরুদ্ধে।
মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০০৯ সালে শহর এলাকার ‘বৈধ পরিবহন মালিকদের নিয়ে’ তাদের সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়।
“বাণিজ্য মন্ত্রণালয় লাইসেন্স না দেয়ায় ২০১০ সালে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের আদেশে চলতি বছরের ৬ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের লাইসেন্স দেয়।”
তিনি দাবি করেন, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব পরিচয় দিয়ে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু চলতি মাসে মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। এতে আদালত সংগঠনটির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দেন।
“এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে আমরা লিভ টু আপিল করলে আদালত ২৩ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেন।”
বেলায়েত জানান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সর্বশেষ নির্বাচনের যে ফলাফলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ স্বাক্ষর করেছেন সেখানে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু উপদেষ্টা ও মহাসচিব পদে আবুল কালাম আজাদের নাম আছে।
“একজন বৈধ মহাসচিব থাকার পরও পরিচয় গোপন করে মঞ্জুরুল আলম রিট করেছেন। পরিবহন খাতে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য কিছু লোক এ চক্রান্ত করছে।”
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুরুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসারে জেলায় একটির বেশি পরিবহন মালিক গ্রুপ থাকতে পারে না। তাই আমরা আদালতে গেছি।”
পরিচয় গোপন করে আদালতে যাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “মহাসচিব পদে আছি বলেই আদালতে ওই পরিচয়ে রিট করেছি। উপদেষ্টা পদে থাকলে তো সে পরিচয়ে রিট করতাম।”
মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের কার্যক্রম ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে মঞ্জুরুল প্রশ্ন করেন, “আদালত শুনানির দিন ধার্য করেছেন। রায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কি করে কার্যক্রম চালান?”
মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপের সংবাদ সম্মেলনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, অবৈধ সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করা, রুট পারমিটবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ইজিবাইক-পাওয়ার বাইক বন্ধ ও হকার উচ্ছেদসহ সাত দফা দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল মো. মনসুরুল করিম নিপু, সহ সভাপতি এম এ ওয়াহেদ দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকরাম শেখ, কামরুল আনোয়ার, মো. সেলিম হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।