সোমবার সকালে পুলিশের লাঠিপেটায় নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভূমিহীনরা।
খেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, সকাল ৯টায় কয়েকশ ১৫টি বাসে করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে সুবর্ণচরের ভূইয়ার হাট, জেলা সদরের মান্নান নগর ও উত্তর ওয়াপদা সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ তাদেরকে জোরপূর্বক বাস থেকে নামিয়ে দেয়।
“এক পর্যায়ে ভূমিহীনরা পায়ে হেঁটে জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে নারীসহ অন্তত ৩০ জন ভূমিহীন আহত হন।”
পরে উত্তর ওয়াপদা বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে ভূমিহীনরা।
সেখান থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়।
তবে ভূমিহীনদের লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, “ভূমিহীনরা বিক্ষোভ মিছিল করার কোনো অনুমতি নেয়নি। পূজা এবং ঈদের আগে এ ধরণের কর্মসূচির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য ভূমিহীনদেরকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের লাঠিপেটা করার অভিযোগ সত্যি নয়।”
হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের কেরিংচরে গত ১৫/১৬ বছর ধরে নদীভাঙ্গা কয়েক হাজার ভূমিহীন পরিবার সরকারি খাস জমিতে বসবাস করছে। কয়েক মাস আগে সেনাবাহিনীকে এখানকার কয়েক হাজার একর ভূমি বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়। এতে ভূমিহীনরা উচ্ছেদের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস জানান, কেরিংচরে কাউকে ভূমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি। এখানে ভূমিহীনরা অবৈধভাবে খাস ভূমিতে বসবাস করছে। তবে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।
যখন ভূমি বন্দোবস্ত দেয়া হবে তখন ভূমিহীনদের অন্যত্র পূর্নবাসন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।