চট্টগ্রামে পূজায় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কায় হিন্দু নেতারা

দুর্গাপূজা চলাকালে তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে বলে ‍শঙ্কা প্রকাশ করছেন জেলার পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 02:11 PM
Updated : 29 Sept 2014, 02:54 PM

সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দন বিশ্বাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, “যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে, তাই আমাদের বিশ্বাস আনন্দময় ও ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারব।

“তবে সুযোগ সন্ধানী সাম্প্রদায়িক চক্র দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

সংগঠনের পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত বলেন, “যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর রায়ের পর বাঁশখালীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে ‍হামলা করা হয়। রামু ও হাটহাজারীতে ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়।

“এসব দেখার পর আমরা আশঙ্কায় আছি। এবার ঈদুল আজহা ও পূজা কাছাকাছি সময়ে। অন্যরকম এই আতঙ্কের কারণ- কেউ গুজব ছড়িয়ে উসকানি দিয়ে কিছু করে কি না।”

হিন্দু নেতাদের শঙ্কার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে এবং প্রশাসন কড়া নজরদারি করছে বলেও পরিষদ নেতারা দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার জেলার ১৪টি উপজেলায় মোট এক হাজার ৫৯৫টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সরকারের কাছে নয় দফা দাবিও জানিয়েছেন।

এর মধ্যে আছে- দুর্গাপূজা উপলক্ষে চারদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা, ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাতিল করে হিন্দু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, হিন্দুদের সমনাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্পিত সম্পতি প্রত্যর্পণ আইনের বাতিল হওয়া ‘খ’ তফসিল বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসন, মেধস মুনির আশ্রমকে জাতীয় তীর্থ ঘোষণা ও জাতীয় রাজনীতিতে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা নিষিদ্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি দিলীপ কুমার মজুমদার, উপদেষ্টা প্রকৌশলী পরিমল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক অলক মহাজন, বিশ্বজিৎ পালিত ও দোলন মজুমদার।