স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচণায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা কারাগারে

স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে কুমিল্লায় এক সাবেক সেনা কর্মকর্তার জামিন আবেদন বাতিল করে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 02:10 PM
Updated : 29 Sept 2014, 02:10 PM

সোমবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম এই নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের সহকারী কৌশলী (এপিপি)গিয়াস উদ্দিন।

তিনি বলেন, “সাবেক সেনা কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।”

মামালার নথিসূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ মে কুমিল্লা সেনানিবাসের নীলিমা ভবনের তৃতীয় তলার বাসভবনে সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট কর্নেল পদবীধারী মো. সফিকুল ইসলামের (৪২) স্ত্রী শেজাদী আপসা-এর (৩৪) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় সফিকুলসহ মোট চারজনকে আসামি করে গত ১৫ মে রাতে নগরীর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই চিকিৎসক মো. জাভেদ হোসেন। 

মামলায় সফিকুলের ভাই মফিজ উদ্দিন ও তার দুই বন্ধু আবদুল বাসেত এবং ইমদাদুল হক তালুকদার সোহেলকেও আসামি করা হয়।

এতে বলা হয়, ঘটনার দিন সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শেজাদীকে মারাত্মকভাবে আহত করেন সফিকুল।

খবর পেয়ে ওইদিন দুপুরে চিকিৎসক জাভেদ ও শেজাদীর মাকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসায় গিয়ে শেজাদীর লাশ তাদের বেডরুমের মেঝেতে চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখেন।

পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষ করে ওই রাতেই শেজাদীর লাশ  তার স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে আসেন।

তার শরীরের একাধিক স্থানে ও গলার পেছনে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লে¬খ করা হয়েছিল। এঘটনায় ১৩মে কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব একই বছরের ২ নভেম্বর আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে সফিকুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার অপর ৩ আসামির নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়।

ঘটনাটি কুমিল্লা সেনানিবাসে ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর সেনা আইনে সফিকুলকে গত বছরের অক্টোবর মাসে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

এদিকে সোমবার আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে ওই সেনাকর্মকর্তা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

২০০০ সালে সফিকুলের সঙ্গে শেজাদীর বিয়ে হয়। পেশায় চিকিৎসক শেজাদী বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ২৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তাদের ১১ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।