মোটাতাজাকরণ: বিশেষজ্ঞ কমিটি করার নির্দেশ

ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে পশু মোটাতাজা করা বন্ধে নীতিমালা তৈরির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 09:58 AM
Updated : 29 Sept 2014, 10:51 AM

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর অবকাশকালীন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

আদেশের অনুলিপি পাওয়ার আট সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসক, পুষ্টি বিজ্ঞানী, পশু চিকিৎসক এবং উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই কমিটি করতে বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও খাদ্য সচিবকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।

একইসঙ্গে পশু মোটাতাজা করতে ওষুধ ব্যবহার বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ওষুধ ব্যবহার বন্ধে কার্যকর নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- তা জানতে রুল দিয়েছে আদালত।

স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব, মৎস্য ও পশুসম্পদ সচিব, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার এবং পশু পালন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যাণ্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে গত ২২ জুলাই অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এই রিট আবেদন করেন।

সারা বছরই গরুসহ বিভিন্ন পশু কৃত্রিমভাবে ‘মোটাতাজা’ করে বাজারে বিক্রি হয়। তবে কোরবানির সময় এই প্রবণতা বাড়ে।

পশু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় স্টেরয়েডজাতীয় (ডেক্সামেথাসন বা ডেকাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন) ওষুধ ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব গরুর মাংস খেলে মানুষের ফুসফুস ও যকৃতে পানি জমে, কিডনি দুর্বল হয় ও হৃদপিণ্ডের ক্ষতি হয়।

পশুর শরীরে ক্ষতিকর উপাদান পরীক্ষায় কোরবানির হাটে পশু চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল রিট আবেদনে।

তবে আদালতে নির্দেশনা আসার আগেই সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর নেয়া ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সব কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসকসহ একটি মেডিকেল টিম কাজ করার কথা রয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ও রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি রোধে পশুর হাটে এই মেডিকেল টিম কাজ করবে।

“ক্রেতাদের চাহিদার ভিত্তিতে মেডিকেল টিম রোগাক্রান্ত পশু পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।”

ঢাকার বাইরে বড় হাটগুলোতেও এই সেবা দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।