ঈদ ও পূজা উপলক্ষে সোমবার কমলাপুর রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকেট বিক্রি পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রেলের উন্নয়নে খুব শিগগিরই ২৭০টি নতুন কোচ রেলবহরে যোগ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভিআইপিদের জন্য নির্ধারিত ৫ শতাংশ কোটার বাইরে টিকেট দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এই অভিযোগ সঠিক না। বিদ্যমান কোটার বাইরে কোনো টিকেট বিক্রি করা সম্ভব নয়।
“তারপরও আপনারা সাংবাদিক বন্ধুরা বলেন বাড়ি যাবো, বলেন টিকেট দেন, এভাবে কিছু টিকেট দিয়ে থাকি। মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন আমাদের সচিব ও কর্মকর্তাদের কাছে আসে, শুধু ভিআইপিদের টিকেটের ব্যবস্থা করা হয় একথা ঠিক না। দেশের সাধারণ নাগরিক যখন বিপদে পড়ে আমার কাছে আসে, যদি সুযোগ থাকে তবে আমরা কাউকে ফিরাই না।”
এবার তাপানুকূল (এসি) আসন ও বার্থ টিকেট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে টিকেট প্রত্যাশীদের।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “অভিযোগ থাকতে পারে। আমাদের সম্পদ সীমিত, দাবি বেশি। চাহিদা অনুযায়ী আসন দেয়া যাচ্ছে না।”
“প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ টিকেট বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনে স্পেশাল ট্রেন ও অতিরিক্ত ১৩০টি কোচ রাখা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য এ কোচগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সংযোজন করা হবে।”
রেলে কোচ ও ইঞ্জিনের স্বল্পতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরইমধ্যে ৪৬টি ইঞ্জিন এসেছে। শিগগিরই আরো ৭০টি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
“কোচের আমাদের বিরাট সমস্যা, বর্তমানে রেলের উন্নয়নে ৪১টি প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া ১২০টি নতুন কোচ ভারতীয় অর্থায়নে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং এডিবির অর্থায়নে ১৫০টি কোচ অর্থাৎ মোট ২৭০টি নতুন কোচ নিয়ে আসা হচ্ছে।”
কাউন্টারে টিকেট বিক্রির ধীর গতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, “রেলে লোকবলের অভাব রয়েছে, অলস লোকদের সরিয়ে কাউন্টারগুলোতে দক্ষ লোক নেয়া হবে।”
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনসুর আলী সিকদার, রেলওয়ের মহাপরিচালক তফাজ্জল হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।