রোববার বিকালে সফিপুর এলাকার এই ঘটনায় আহত মোহাম্মদ আলী (৩৫) স্থানীয় করতোয়া স্পিনিং কারখানার নিরাপত্তাকর্মী। তার পেটে ও হাতে গুলি লেগেছে|
কারণ জানাতে না পারলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই নিরাপত্তাকর্মীকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছে। আর আনসার কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্ঘটনাবশত বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে মোহাম্মদ আলী আহত হয়েছেন।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, "কারখানার দক্ষিণপাশে দায়িত্ব পালন করছিলেন আলী। ওই স্থানের পাশেই আনসার ভিডিপি'র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি নিরাপত্তা চৌকি রয়েছে। সেখানে কর্তব্যরত ছিলেন আনসার বাহিনীর এপিসি আব্দুল ওহাব ও আনসার সদস্য মোকছেদুল।
তিনি জানান, কিছুক্ষণ পর ওই কারখানার অপর এক কর্মী আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন ডাকেন। তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সফিপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, "কেন পাশের আনসার ক্যাম্পের সদস্যরা আমার কারখানার নিরাপত্তাকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে তা বুঝতে পারছি না।"
এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ করলেও আনসারের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. ফখরুল আলম 'অসাবধানতাবশত: আনসার সদস্যের অস্ত্র থেকে গুলি বের হয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে' উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আনসার কর্তৃপক্ষের করা ওই ডায়েরির কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, "দুইটি ঘটনাস্থলই পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে গুলি ছোঁড়ার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।"