আদালতে ‘প্রক্সি’ দিতে গিয়ে ধরা

দুর্নীতির একটি মামলায় সহকর্মীর পরিচয় নিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মচারী।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2014, 04:15 PM
Updated : 28 Sept 2014, 04:15 PM

এই কর্মচারী হলেন সার্ভেয়ার আলী আহম্মেদ। তিনি কানুনগো মোহাম্মদ আলী সেজে রোববার ঢাকার জজ আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন।

কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ার পর আসল আসামি মোহাম্মদ আলী আদালতে হাজির হন। তখন বিচারক দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ডিসিসির জায়গা বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলায় সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও আসামি।

এই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলার তিন আসামি সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।

গত ২৪ অগাস্ট মামলা করার পর আসামিরা ২৭ অগাস্ট হেই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। শনিবার তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। যে কারণে তারা রোববার বিচারিক আদালতে আসেন।

এই তিন আসামি হলেন- ঢাকা সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ) সার্ভেয়ার বাচ্চু মিয়া,  কানুনগো মোহাম্মদ আলী এবং এস্টেট অফিসার মোহসিন উদ্দিন মণ্ডল।

এজলাসে ওঠার পর দুদকের বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল আসামির পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বিচারক তখন ‘আসামি মোহাম্মদ আলী কে’ তা জানতে চাইলে আলী আহম্মেদ বলেন, “আমিই মোহাম্মদ আলী।”

কিন্তু বিচারকের জেরার মুখে আলী আহম্মেদ ধরা পড়ে যান।

এসময় কাঠগড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আলী আহম্মেদ, তাকে কাঠগড়া থেকে বের করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এজলাসের বেঞ্চের উপর ঘণ্টাখানেক শুইয়ে রাখা হয়।

এই খবর শুনে মোহাম্মদ আলীও আদালতে হাজির হন। বিচারক জহুরুল হক তখন মোহাম্মদ আলী ও আলী আহম্মেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে  বাচ্চু মিয়া ও মোহসীন আলীকে জামিন দেন।

ভুয়া পরিচয়ের বিষয়ে আসামিদের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিদের আমি চিনি  না। জুনিয়র লইয়ারদের মামলা শুনানি করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। জানলে আমি এ মামলাটিতে শুনানি করতে যেতাম না।”