রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ওবায়দুস সোবহানের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মামলার বাদী চান্দগাঁও থানার এসআই আবুল কালাম আজাদের।
এরআগে গত ১৬ জুলাই ও ২৭ অগাস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন নির্ধারিত থাকলেও সেসময় সংশ্লিষ্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক না থাকায় তা হয়নি।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে নির্মাণাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় প্রকল্পটির পরিচালক সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হাসান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকেও আসামি করা হয়।
অন্য আসামিদের মধ্যে ছিলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আখতার অ্যান্ড পারিসা ট্রেড সিস্টেমসের ১০ জন ও বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১২ জন।
তদন্ত শেষে এজাহার বহির্ভুত একজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৪ অক্টোবর অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার পরিদর্মক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র থেকে এজাহারভুক্ত ১৮ জনকে বাদ দেওয়ায় এ বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়ে অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্র পক্ষ।
তবে আদালত গ্রহণ না করে গত ১৮ জুন আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে, যাদের সবাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সে সময়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অভিযুক্তরা হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।