রোববার ৬৮ বছরে পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সকালে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরির ভিআইপি সেমিনার হলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন প্রবন্ধের সংকলন ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’র মোড়ক উন্মোচন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বইটি সম্পাদনা করেছেন প্রত্যয় জসীম।
বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’র প্রকাশনা উৎসবে মন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি তার বাবার মতো বিশ্বকল্যাণে ভূমিকা রেখে চলেছেন।
“যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের কোনো স্বপ্ন ছিল না, ভিশন ছিল না। শেখ হাসিনাই জাতির সামনে টার্গেট দিয়েছেন, ভিশন তুলে ধরেছেন।”
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কথা তুলে ধরে মোজাম্মেল বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ্য নেতৃত্বেই সরকার পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।”
জন্মদিনে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের সহ সম্পাদক এস এম মশিউর রহমান শিহাব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানা, কাজী রফিক, কবি আনোয়ার হোসেন, কবি আসলাম সানী, কবি আরিফ মঈনুদ্দিন, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অধ্যাপক শাহ-আলম সাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার। এক ছেলে (সজীব আহমেদ ওয়াজেদ) ও এক মেয়ের (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) জননী তিনি।
ষাটের দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৬৬-৬৭ সালে ছাত্রলীগ থেকে ইডেন কলেজের ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় শেখ হাসিনা তার মা, বোন শেখ রেহানা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলের সঙ্গে ঢাকায় বন্দী ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার সময় হাসিনা দেশে ছিলেন না। সেসময় তিনি স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বেলজিয়ামে অবস্থান করছিলেন।
এরপর দীর্ঘ সময় দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাসিনার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলীয় প্রধান নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তিনি।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মাধ্যমে তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তিন বার বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।